ছাত্রদেরকে নিজেদের পৃষ্ট পোষকতায় উঁচু মানের শিক্ষা নিশ্চিত করবে সাথে পরিবেশ এবং দেশের উন্নয়নে যুগপযগী দিকনির্দেশনা দিবে। যেন তারা- আত্মশাসন, সহনশীলতা, সৃজনশীলতা, কর্তব্যবোধ, আত্ম-সমালোচনা, গভীর চিন্তনশক্তি এবং বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। আজকের শিক্ষিত শিশু আগামি দিনর সুযোগ্য নাগরিক, যাদের দক্ষ হাতে এই দেশ এক দিন পরিচালিত হবে। নিভৃত পল্লীর আপামোর জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার আলো বিকিরণ। শিক্ষার্থীদেরকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী রূপে গড়ে তোলা। শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। শিক্ষা বঞ্চিত দরিদ্র পল্লী বাসীর ছেলেমেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টিকরণ। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বৃত্তিগুলোর সুষম বর্ধনে সহায়তা করা। শিক্ষার্থীদের সুপ্ত মেধা ও প্রতিভার বিকাশ সাধন।বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগ। আধুনিক বিশ্বের সকল ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি পালন করছে জাদুর কাঠির মতো বিস্ময়কর ভূমিকা। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী বিরাট আলোড়নের সৃষ্টি করেছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা উপকরণ ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে তাদের মধ্যে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ অগ্রগণ্য। ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা ইতোমধ্যে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল ও তথ্য-প্রযুক্তি বান্ধব করার লক্ষ্যে একটি সমৃদ্ধ কলেজ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম ও ওয়েব সাইট চালু করার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে উল্লিখিত তথ্য-প্রযুক্তি কেন্দ্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করায় আমি অত্র প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডির সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত আনন্দিত এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরো বেগবান হবে বলে আমি আশাবাদী। শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।