টাঙ্গাইল জেলাধীন সখিপুর উপজেলার মনোরম পরিবেশে অবস্হিত শিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ। ১৫ জুলাই ১৯৭০ সনে প্রায় ৪(চার) একর জমির উপর এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা লাভের ভিত্তি তৈরিতে একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কলেজটির সহায়তা নিয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। দক্ষ ও সৃজনশীল মানব সম্পদ সৃস্টিতে কলেজের অবদান অনস্বীকার্য।শুরু থেকে আজ পর্যন্ত অগনিত তরুন-তরুনী এই কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করেছে এবং বর্তমানে তারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে।শ্রেণী কক্ষে পাঠদান, পরীক্ষাগারে নিয়মিত ব্যবহারিক অনুশীলন,সাপ্তাহিক,পাক্ষিক,সাময়িক ও বার্ষিক পরীক্ষা এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষাদান ও মেয়েদের শারীরিক,মানষিক ও নৈতিক বিকাশে সহায়তাদানে এই প্রতিষ্ঠান একান্তভাবে নিয়োজত।শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি চারিত্রিক গুনাবলী বিকাশে সহায়তা করে দেশের সুনাগরি ক হিসাবে গড়ে তোলাই অত্র কলেজের উদ্দেশ্য।
সুযোগ্য গর্ভনিং বডি দ্বারা কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে।কলেজটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সুযোগ্য বিষয় বিশেষজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী ক্লাশ পরিচালনা,রাজনীতিমুক্ত ও কঠোর শৃংখলাপূর্ণ পরিবেশ,অভিবাভকমন্ডলীর সমাগমে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অভ্যন্তরীন খেলাধূলার সুবিধাদি ,দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ,সাংস্কৃতিক কার্যক্রম,বিজ্ঞানাগার ও ৫০১২ নতুন পুরাতন বই সমৃদ্ধ আধুনিক গ্রন্থাগারার সুবিধা,বাৎসরিক শিক্ষাসফর,নকলমক্ত পরীক্ষা,বাৎসরিক অভিবাবক সমাবেশের ব্যবস্হা বিভিন্ন বৃত্তির ব্যবস্হা,ছাত্রীদের কমন রুমের সুব্যবস্হা ।শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সুসর্ম্পক,ছাত্রীদের অদম্য ইচ্চা,আত্ববিশ্বাস ও অধ্যাবসায় , শিক্ষকদের প্রচেষ্টা এবং অভিবাকদের সহযোগিতায় কলজেটির অগ্রযাত্রায় সফলত চলমান আছে। সর্বোপরি এলাকার আপামর জনসাধারনের সহযোগীতায় গড়ে ওঠা চমৎকার একটি প্রতিষ্ঠান হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ।
লক্ষ্যঃ নিভৃত পল্লীর আপামোর জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার আলো বিকিরণ। শিক্ষার্থীদেরকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী রূপে গড়ে তোলা। শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। উদ্দেশ্যঃ শিক্ষা বঞ্চিত দরিদ্র পল্লী বাসীর ছেলেমেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টিকরণ। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বৃত্তিগুলোর সুষম বর্ধনে সহায়তা করা। শিক্ষার্থীদের সুপ্ত মেধা ও প্রতিভার বিকাশ সাধন। বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগ। আধুনিক বিশ্বের সকল ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি পালন করছে জাদুর কাঠির মতো বিস্ময়কর ভূমিকা। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী বিরাট আলোড়নের সৃষ্টি করেছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা উপকরণ ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে তাদের মধ্যে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ অগ্রগণ্য। ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা ইতোমধ্যে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল ও তথ্য-প্রযুক্তি বান্ধব করার লক্ষ্যে একটি সমৃদ্ধ কলেজ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম ও ওয়েব সাইট চালু করার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে উল্লিখিত তথ্য-প্রযুক্তি কেন্দ্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করায় আমি অত্র প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডির সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত আনন্দিত এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরো বেগবান হবে বলে আমি আশাবাদী। শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।